স্টাফ রিপোর্টার ঃ
মিথ্যা অভিযোগে হামলা, মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে কবি মোহন রায়হান ও তার পরিবার।
রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কবি মোহন রায়হান বলেন, জনতা ব্যাংক এস.বি ফজলুল হক রোড শাখার ম্যানেজার আরাফাত শাকিলের নেতৃত্বে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সম্প্রতি আমার বোন ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ, অপপ্রচার, চেক বাউন্স ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। বাবা-মা, ভাই-বোন আমাকেসহ গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার, চালিয়ে সম্মানহানি করা হচ্ছে। আমাদের ভন্ড, প্রতারক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এমনকি কুকুর বলেও গালি দেয়া হচ্ছে। আমার বোন সানলাইফ ইন্সুরেন্সের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনকে টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে তার বাড়িতে হামলা ও মামলা করানো হয়েছে।
কবি মোহন রায়হান বলেন, ১০ মাস আগে ঘটনার সূত্রপাত। আমার খালাতো ভাই ব্যাংক ম্যানেজার আরাফাত শাকিল তার বাড়ির সাবেক কাজের মেয়ে নুরজাহান খাতুন তুর্কিকে রাস্তার উপর নির্যাতনের অভিযোগে আটক হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নেন আমার বোন ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা এবং মামলার স্বাক্ষী হন ফরিদা ইয়াসমিন নিজে। এ থেকেই ব্যাংক কর্মকর্তা আরাফাত শাকিল ও তার স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা তানজুম আরা রকু আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে নানা অশালীন ভাষায় অপপ্রচার চালান তারা। তিনি বলেন, সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে সানলাইফ ইন্সুরেন্সের কিছু গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে ফরিদার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। যার নেতৃত্ব দেন ব্যাংক কর্মকর্তা আরাফাত শাকিল। পরবর্তীতে কোম্পানীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা
যায়, গ্রাহকের একটি টাকাও ফরিদা আত্মসাত করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে কবি মোহন রায়হানের বোন ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সান লাইফ ইন্সুরেন্সে সিরাজগঞ্জে ১০ হাজারের মতো গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে বীমার মেয়াদোত্তীর্ণ গ্রাহকের সংখ্যা এক হাজারের মতো। কিন্তু
আমার বাসায় হামলা চালিয়েছে মাত্র ২৪ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ৩ জন কোন টাকাই পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সানলাইফ ইন্সুরেন্সের শাখা ব্যবস্থাপক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ফরিদা ইয়াসমিন কোন টাকা আত্মসাত করেননি।
অপরদিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ডিএমডি আসলামুল হক বলেন, ২ বছর করোনার কারণে কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারণে যথাসময়ে বীমার টাকা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যাক্রমে সবার টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ভুইয়া, সরকারি রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, মঞ্জুর রহমান বকুল ও অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।