এম, মনিরুজ্জামান,রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
নিখোঁজের তিন দিন পর রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের পূর্ব বাগদুলি গ্রামের হাবিবুর রহমান খান (৬০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ পাশের কালুখালির বড় পাতুরিয়া গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের গোয়াল ঘরের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের বড় পাতুরিয়া গ্রামের দুই ফুট মাটির নিচে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ সিদ্দিক মন্ডল (৬১) ও তার স্ত্রী নার্গিসকে আটক করেছে কালুখালী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানানয়, হাবিবুর রহমান খান একজন গরু ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে মৃত্যু হাবিবুর রহমানের ছেলে চাদ আলী খান বাদি হয়ে ওই দুই জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়া গত ২১জুলাই রাতে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইপির এক পাট ক্ষেত থেকে পুলিশ ৪দিন আগে নিখোজ হওয়া আশিক(১৫)নামের ভ্যান চালকের লাশ উদ্বার করেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আমিনুল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
কালুখালিথানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন,গত বৃহস্পতিবার গরু ব্যবসায়ী তার বাগদুলির বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই বাছাই করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে গ্রেপ্তার করে।
কালুখালি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, সিদ্দিক মন্ডলের স্ত্রী সুন্দরী নার্গিসকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে তাকে হত্যা করে। এরপর স্বামী স্ত্রী মিলে দিনের বেলায়ই তাদের গোয়াল ঘরে মাটি খুরে তাতে হাবিবুরের লাশ চাপা দিয়ে দেয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, হাবিবুর রহমান খান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আটক নার্গিসকে ধর্ষণ চেষ্টা করতে যান। এর আগে নার্গিসকে কুপ্রস্তাব নিয়ে আসছিলেন তিনি। কুপ্রস্তাব মেনে না দিলে তার দিকে আসলে ধারালে একটি অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয় হাবিবুর রহমানকে। এরপর তার লাশ সিদ্দিক মন্ডলের সহায়তার মাটির নিচে পুতে রাখেন তারা।আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসানে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিদ্দিক মন্ডল ও তার স্ত্রী নার্গিসকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।