আব্দুল খালেক নান্নু:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এম.পি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘ দিন ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার ২৩ জুলাই দিবাগত রাত ২.০০ টায় (নিউইয়র্ক সময় বিকাল ৪.০০টা) তিনি মারা যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত। ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
পৃথক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে রাব্বী মিয়া আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ‘৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চারবার সাংসদ নেতা হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ এ তিনবার সাংসদ নেতা হয়ে দায়িত্ব করেছিলেন। এই দুটি দলে সাত বার একজন সাংসদ নেতা হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।